+8801676386302 [email protected]

সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর গুলো কি কি জানতে চাই

by | Jul 22, 2020 | 14 comments

যেসব বিষয় অনুসরণ করে একটি ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে অর্থাৎ সেরা দশে স্থান পায় তাই হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর। আমরা যখন কোন একটা কিওয়ার্ড দিয়ে গুগলে বা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করি তখন প্রথম পেজেই ১০ টি রেজাল্ট প্রদর্শিত হয়। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, কেন সার্চ ইঞ্জিন মাত্র ১০ টি রেজাল্ট প্রথম পেজে নিয়ে আসলো? কেন অন্যান্য ওয়েবসাইট প্রথম পেজে আসার সুযোগ পায়নি? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আপনাকে জানতে হবে সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর। আমরা আজকে আলোচনা করবো সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর নিয়ে।  সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাংকিং ফ্যাক্টর গুলো নিম্নরূপ-

১। কন্টেন্ট ফ্যাক্টর

২। ডোমেইন ফ্যাক্টর

৩। ওয়েবসাইট ফ্যাক্টর

৪। অন পেজ এসইও ফ্যাক্টর 

। ব্যাকলিংকস ফ্যাক্টর

কন্টেন্ট ফ্যাক্টর

গুগল কোর এলগোরিদম আপডেট মে ২০২০ এ তাদের র‍্যাংকিং ফ্যাক্টরের মধ্যে কন্টেন্টকে এক নম্বরে রেখেছে। এক্ষেত্রে গুগল ৪ টি ধাপে কন্টেন্টের মান তুলে ধরতে গুরুত্বারোপ করেছে, সেগুলো হলো-  

১। কনটেন্টের মান

–পর্যাপ্ত তথ্য, রিসার্চ, রিপোর্ট ও বিশ্লেষন নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে।

–সম্পূর্ণ ও বিশদভাবে বিষয়বস্তু আর্টিকেলে ফুটিয়ে তুলতে হবে। অর্থাৎ ভিজিটররা যা সার্চ করছে তাকি পুরোপুরি পেয়েছে কিনা নিশ্চিত করতে হবে।

–বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে কন্টেন্ট লিখে বা আর্টিকেল পুনলিখন (Rewrite) করার চেয়ে নতুন তথ্যবহুল কন্টেন্ট অবশ্যই বেশি ফলপ্রসূ।

– আর্টিকেলের টাইটেল ও মেটা ডেসক্রিপশনের মাধ্যমে পুরো আর্টিকেলের সারাংশ তুলে ধরতে হবে।  

– আর্টিকেলের টাইটেল বা মেটা ডেসক্রিপশন বিষয়বস্তুর সাথে মিল রেখে লিখতে হবে। অতিরঞ্জন বা হটকারি টাইটেল সার্চ রেজাল্টে র‍্যাংক পাবে না।

– আপনার পেজ বা পোস্ট কি মানুষ বুকমার্ক বা শেয়ার করতে ইচ্ছুক কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। 

–বিভিন্ন এনসাইক্লোপিডিয়া বা বইয়ের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইটের তথ্য কি রেফারেন্সের পাওয়ার যোগ্যতা রাখে? যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তবে ওয়েবসাইট র‍্যাংক করার সমূহ সম্ভবনা আছে। 

২। কন্টেন্ট লেখকের দক্ষতা

– এমন কন্টেন্ট লিখতে হবে যা মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য ও যা সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণ সহকারে লিখা হয়।

–যে বিষয়ে কন্টেন্ট লেখক লিখেছে সে বিষয়ে তিনি ভাল জ্ঞান রাখেন কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।

– ওয়েসবাইটের যেকোন কন্টেন্ট প্রতারণা, মিথ্যা বা ভুল তথ্য থেকে মুক্ত হতে হবে।

৩। কন্টেন্ট উপস্থাপনা

– ওয়েবসাইটের আর্টিকেলগুলোকে বানানগত বা ব্যকরণগত যথাসম্ভব শুদ্ধ হতে হবে।

– আর্টিকেলগুলোকে পরিকল্পিতভাবে সাজিয়ে লিখতে হবে তাড়াহুড়ো করে লিখা ঠিক নয়।

– কন্টেন্টে অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন থাকলে মানুষ পড়তে বিরক্তবোধ করে। সুতরাং সহনীয় মাত্রায় ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়া উচিত।

–সকল ডিভাইসে (মোবাইল, ট্যাব) ইত্যাদিতে সুন্দরভাবে যেন কন্টেন্ট প্রকাশিত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৪। কন্টেন্টের তুলনা

– বলার অপেক্ষা রাখে না অন্যান্য পেজের তুলনায় করলে অধিক মুল্যবান কন্টেন্ট লিখতে হবে র‍্যাংক পেতে হলে।

–ভিজিটরের প্রয়োজন পূর্ণ করে কন্টেন্ট লিখা উচিত সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি করা সেটি পরের বিষয়।

যে চারটি পয়েন্ট আমরা এতক্ষন আলোচনা করলাম তা ছিল গুগল কোর এলগোরিদম আপডেট যা মে ২০২০ এ প্রকাশিত যা অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাংকিং ফ্যাক্টর। এই পয়েন্টগুলো আলোচনা করে আমরা বুঝতে পারছি গুগল র‍্যাংকিং এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে কন্টেন্টকে। 

ইইএটি ক্রাইটেরিয়া (EEAT Criteria)

ইইএটি ক্রাইটেরিয়া (EEAT Criteria) এখন সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর এ ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করছে। EAT এর বিশদরূপ হচ্ছে

E = Experience

E = Expertise

A = Authoritativeness and

T = Trustworthiness.

Experience (অভিজ্ঞতা)

এখানে অভিজ্ঞতা বলতে বুঝানো হয়েছে যিনি কন্টেন্ট লিখেছেন তার অভিজ্ঞতা কতটুকু। যে বিষয়ের উপর লিখছেন সেই বিষয়ের উপর আপনি অভিজ্ঞ কিনা।

Expertise (দক্ষতা)

Expertise (দক্ষতা) বলতে বুঝানো হচ্ছে যে ওয়েবসাইট থেকে কন্টেন্ট লিখা হচ্ছে তাদের উক্ত বিষয়ের উপর গভীর দক্ষতা রয়েছে কিনা। অর্থাৎ সামগ্রিক আলোচ্য বিষয়ের উপর তাদের গভীর জ্ঞান আছে কিনা।     

Authoritativeness (প্রামান্যতা)

Authoritativeness (প্রামান্যতা) দ্বারা বুঝানো হচ্ছে আপনি যে বিষয়বস্তুর উপর ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন তার উপর আপনার কর্তৃত্ব বা প্রামান্যতা কতটুকু আছে। আপনি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর দক্ষতা রাখেন তা প্রমান হয় যখন বড় ওয়েবসাইট (যার বেশি পিএ/ডিএ আছে) আপনাকে এক্সটারনাল লিংক দেয় বা রেফারেন্স দেয় । এটা তখন প্রমান হয় আপনার ওয়েসবাইট ঐ বিষয়বস্তুর মূল তথ্যদাতা।       

Trustworthiness (বিশ্বাসযোগ্যতা)

একটি  ওয়েবসাইট যখন তথ্য প্রদান বা লেনদেনের বিশ্বাসযোগ্য হবে সেটাকে Trustworthiness (বিশ্বাসযোগ্যতা) বলা হয়। আর্থিক লেনদেন যেসব ওয়েবসাইটে হয় তাদের জন্য Trustworthiness সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য Trustworthiness সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কোন ওয়েবসাইটে  SSL certificate সংযুক্ত থাকা মানে ওয়েবসাইটের Trustworthiness এর প্রমাণ বহন করে।     

ডোমেইন ফ্যাক্টর

১।ডোমাইনের বয়স

ডোমেইন বয়স একটি কম গুরুত্বপূর্ণ সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর। সাধারণত কোন ডোমেইনের বয়স বেশি থাকা মানেই সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংক পাবে ব্যাপারটি এমন নয়, তবে দুটি ডোমেইনের কন্টেন্ট যদি একই মানের হয় তবে যে ডোমেইনের বয়স বেশি সেটি সার্চ রেজাল্টে অগ্রাধিকার পাবে।  

২। টপ লেভেল ডোমেইন

টপ লেভেল ডোমেইন (TLD) সাধারণত সেকেন্ড লেভেল ডোমেইন (SLD) থেকে র‍্যাংক পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায় । সুতরাং র‍্যাংকিং এ ভালো রেজাল্ট করতে হলে টপ লেভেল ডোমেইন নিয়ে কাজ করা উচিত। সাধারণত টপ লেভেল ডোমেইন হলো-

•          .com

•          .net

•          .org

•          .info

•          .co

•          .io

•          .me

•          .xyz

এর মধ্যে ডট কম ডোমেইনকে বলা হয় কিং ডোমেইন যা টপ লেভেল ডোমেইনের মধ্যে প্রথমে অবস্থান করে।

৩। এক্সাক্ট ম্যাচ ডোমেইন

এক্সাক্ট ম্যাচ ডোমেইন হচ্ছে সেই ডোমেইনগুলো যেগুলো প্রধান কিওয়ার্ডের সাথে মিলে যায়। যেমন আপনি যদি অনলাইনে বাসের টিকেট বিক্রি করেন এবং আপনার ডোমেইন হয় busticket.com তাহলে এটি হচ্ছে এক্স্যাক্ট ম্যাচ ডোমেইন। এখানে আপনার কিওয়ার্ড ও ডোমেইন একসাথে মিলে গেছে। এক্স্যাক্ট ম্যাচ ডোমেইনে আপনি সার্চ রেজাল্টে সামান্য প্রাধান্য পাবেন।

৪। ব্র্যান্ডেড ডোমেইন

২০২৩ সালের এসইও স্ট্র্যাটেজির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্র্যান্ডেড ডোমেইন নিয়ে কাজ করা। গুগল এখন ব্র্যান্ডেড ডোমেইনকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে র‍্যাঙ্কিং এর জন্য। যেমন backenddigital.com একটি ব্র্যান্ড নেম ডোমেইন।

৫। পাবলিক WHOIS vs. প্রাইভেট WHOIS  

কোন ডোমেইন রেজিস্ট্রেটরের নাম জানা যাবে যদি WHOIS ডাটা পাবলিক করে রাখা হয়, কিন্তু WHOIS ডাটা প্রাইভেট করে রাখা মানে আপনি কিছু লুকাতে চাচ্ছেন যা কিনা সার্চ ইঞ্জিন একটি নেগেটিভ সিগন্যাল হিসেবে নেয়। সুতরাং, WHOIS ডাটা পাবলিক করে রাখাই বেস্ট প্যাকটিস।

৬। স্পামার WhoIs Owner  

একটি হোস্টিং এর আন্ডারে একাধিক ডোমেইন থাকতে পারে। যদি সার্চ ইঞ্জিনের কাছে একটি ডোমেইন স্পামার হিসেবে সাব্যস্ত হয় তবে সেই ব্যক্তির হোস্টিং এর আন্ডারে থাকা বাকি ডোমেইন গুলোতেও সেটি সমান প্রভাব ফেলে।  

৭। কান্ট্রি কোড টপ লেভেল ডোমেইন

লোকাল এসইও বা স্থানীয় সার্চ রেজাল্টে কিছু অগ্রাধিকার পায় কান্ট্রি কোড টপ লেভেল ডোমেইন। তবে গ্লোবাল টার্গেটে কান্ট্রি কোড টপ লেভেল ডোমেইন ততটা কার্যকর নয়। কান্ট্রি কোড টপ লেভেল ডোমেইন এর উদাহরণ হচ্ছে .com.bd (বাংলাদেশ), com.ac (অস্ট্রেলিয়া), com.us (ইউএসএ) ইত্যাদি।     

অন পেজ এসইও ফ্যাক্টর

১। টাইটেল ট্যাগে কিওয়ার্ড রাখা

টাইটেল ট্যাগের মধ্যে যদি ফোকাস কিওয়ার্ড থাকে তবে তা র‍্যাংক করার সম্ভবনা তুলনামূলক বেশি হয়। তাছাড়াও MOZ এবং Backlinko এর দুটি পৃথক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, যেসব টাইটেল ট্যাগের প্রথম অংশে কিওয়ার্ড থাকে সেসব ওয়েবসাইট র‍্যাংক করার ক্ষেত্রে অগ্রগামী থাকে।

২। মেটা ডেসক্রিপশনে কিওয়ার্ড রাখা  

মেটা ডেসক্রিপশনে কিওয়ার্ড থাকা মানে সেই আর্টিকেল কিওয়ার্ডের সাথে প্রাসঙ্গিক বলে সাব্যস্ত হয়। যেকোন আর্টিকেলের সারাংশ অল্প কথায় তুলে ধরে মেটা ডেসক্রিপশন, যদি মেটা ডেসক্রিপশনের মধ্যে কিওয়ার্ড থাকে তবে তবে সেই আর্টিকেল সার্চ রেজাল্টে অধিকতর প্রকাশিত হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

৩। ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল লিংক ব্যাবহার করা

আর্টিকেল/পেজে রেফারেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে অন্তত একটি ইন্টারনাল লিংক ও অন্তত একটি এক্সটারনাল লিংক ব্যবহার করতে হবে। তবে প্রয়োজন সাপেক্ষ্যে অবশ্যই একাধিক লিংক দেয়া যাবে। আমি যদি নিজের ওয়েবসাইটের কোন পেজকে লিংক দেই তবে সেটা ইন্টারনাল লিংক। আমার নিজের ওয়েবসাইটের বাইরের কোন লিংক ইউজ করলে সেটা এক্সটারনাল লিংক।

৪। ইউআরএলে কিওয়ার্ড রাখা

ইউআরএলে কিওয়ার্ড রাখা আরেকটি প্রাসঙ্গিক সিগন্যাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফলে সার্চ রেজাল্টে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

৫। কন্টেন্ট অপটিমাইজেশন  

অন পেজ এসইও এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো কন্টেন্ট অপটিমাইজ করা। কন্টেন্ট অপটিমাইজেশন এর ধাপগুলো নিম্নরূপ –

•          কন্টেন্টে পর্যাপ্ত সংখ্যক কিওয়ার্ড রাখতে হবে ও মাত্রাতিরিক্ত কিওয়ার্ড ব্যবহার (কিওয়ার্ড স্টাফিং) হতে বিরত থাকতে  হবে।

•          কন্টেন্টে H1, H2, H3 ট্যাগগুলো ব্যবহার করতে হবে।

•          যথাসম্ভব তথ্যবহুল ও বিশদ কন্টেন্ট হতে হবে যা আমরা পূর্বেই আলোচনা করেছি।

•          সাব হেডিং এর মধ্যে কিওয়ার্ড রাখতে হবে।

•          Latent Semantic Indexing (LSI) বা প্রতিশব্দমূলক কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।

•        কন্টেন্ট ব্যবহৃত তথ্যসূত্র বা রেফারেন্সের জন্য ইন্টারনাল লিংক ও এক্সটারনাল লিংক ব্যবহার করতে হবে। 

৬। কন্টেন্ট আপডেট 

সময়ের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় কন্টেন্ট আপডেটের প্রয়োজন দেখা দেয়। যেমন আমাদের এই আর্টিকেলের কথাই ধরুন, আজ থেকে ১-২ বছর পর সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাংকিং ফ্যাক্টর পরিবর্তন হতে পারে ফলে সময়ের সাথে সাথে এই কন্টেন্টকে আপডেট করতে হবে। যদি ওয়েবসাইটে এমন কোন কন্টেন্ট থেকে থাকে যার প্রয়োজনীয়তা একেবারেই নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে তবে সেই কন্টেন্টকে ডিলিট করে দেওয়া উচিত।   

৭। ইমেজ অপটিমাইজেশন  

বর্তমান সময়ে ইমেজ র‍্যাংক করানো এসইও এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইমেজ র‍্যাংক করাতে হলে নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে-

•          ইমেজের সাইজ যথাসম্ভব ছোট হওয়া ভাল ফলে দ্রুত পেজ লোড হবে।

•          ইমজে অবশ্যই রিলেটেড কিওয়ার্ড দিয়ে অল্টার টেক্স ব্যবহার করতে হবে।

•          ইউনিক ও কপিরাইটমুক্ত ইমেজ হতে হবে।

•          প্রয়োজনে ইমেজের প্রোপার্টিজ থেকে কিওয়ার্ড, ট্যাগ ও কপিরাইট সেট করে দেওয়া ভালো।

ওয়েবসাইট ফ্যাক্টর

১। এক্সেমএল সাইটম্যাপ

আপনার ওয়েবসাইটে কতগুলো পেজ ও পোস্ট আছে তা সাইটম্যাপের মাধ্যমে গুগলে ইনডেক্স করা হয়। সার্চ রেজাল্টে প্রকাশিত হওয়ার জন্য সাইটম্যাপ সার্চ কনসোলে সেট করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

২। এসএসএল সার্টিফিকেট

কোন ওয়েবসাইটের সিকিউরিটির নিশ্চয়তা প্রদান করে এসএসএল সার্টিফিকেট। বিশেষ করে যেসব ওয়েবসাইটে আর্থিক লেনদেন হয় সেসব ওয়েবসাইটে এসএসএল সার্টিফিকেট আরও বেশি প্রয়োজন। এসএসএল সার্টিফিকেট একটি গুরুত্বপূর্ণ সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর।

৩। মোবাইল ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট

বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ভিজিটর আসে মোবাইল ফোন হতে। ফলে ওয়েবসাইট মোবাইল, ট্যাব, পিসি সবকিছুতেই যেন রেসপনসিভ হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। ওয়েবসাইট রেসপসিভ না হলে সার্চ রেজাল্টে বেশ পিছিয়ে পড়বে এটাই স্বাভাবিক।

৪। গুগল সার্চ কনসোল ইনডেক্সিং

গুগলের ওয়েবমাস্টার টুল বা গুগল সার্চ কনসোলে ওয়েবসাইটকে ইনডেক্স করাতে হবে। গুগল সার্চ কনসোলে ওয়েবসাইটকে ইনডেক্স করালে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাবে ও কোন ইরোর থাকলে তাও দেখতে পাওয়া যাবে। সার্চ কনসোল মূলত আপনার ওয়েবসাইটের উপস্থিতি গুগলকে জানান দেয়।

৫। কোন ব্রোকেন লিংক বা ৪০৪ ইরোর পেজ না রাখা

ওয়েবসাইটে কোন ব্রোকেন লিংক থাকলে সার্চ ইঞ্জিন সেটিকে একটি নেগেটিভ সিগন্যাল হিসেবে নেয়। সেক্ষেত্রে ব্রোকেন লিংকটিকে সার্চ কনসোল থেকে রিমুভ করে বা সেখানে প্রাসঙ্গিক অন্য একটি কন্টেন্ট যুক্ত করে দেয়া যেতে পারে।

ব্যাকলিংক এসইও ফ্যাক্টর

১। লিংকিং ডোমেইন ও লিংকিং পেজের সংখ্যা

কতগুলো ডোমেইন থেকে একটা ওয়েবসাইট লিংক পেয়েছে তাই হচ্ছে লিংকিং ডোমেইনের সংখ্যা। লিংকিং ডোমেইন বেশি হওয়ার অর্থ হচ্ছে ওয়েবসাইটি অন্যদের থেকে অথোরিটি পাচ্ছে। যেটি সার্চ ইঞ্জিনে একটি পজিটিভ র‍্যাংকিং সিগন্যাল। একইভাবে তা বিভিন্ন পেজ লিংকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

২। লিংকিং পেজের ডোমেইন অথোরিটি

যে ডোমেইন বা পেজ থেকে লিংক পাওয়া যাবে তার ডোমেইন অথোরিটি বেশি হওয়ার অর্থ হচ্ছে বড় ওয়েবসাইট থেকে লিংক অর্জন করা। সুতরাং যেসব ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথোরিটি বেশি তাদের থেকে ব্যাকলিংক গ্রহণ করলে ওয়েবসাইট সার্চ রেজাল্টে অগ্রাধিকার পাবে।

৩। লিংকের প্রাসঙ্গিকতা

যে উৎস থেকে লিংক সংগ্রহ করা হয়েছে সেটি নিশ রিলেটেড কিনা সেটি নির্দেশ করে লিংকের প্রাসঙ্গিকতা। বিভিন্ন নিশ থেকে লিংক নেওয়ার চেয়ে প্রাসঙ্গিক নিশ থেকে লিংক গ্রহণ করলে তা সার্চ রেজাল্টে অধিকতর গুরুত্ব বহন করে। যদি সেই লিংক এংকর টেক্সট থেকে নেওয়া হয় তবে এর গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়।

৪। ডু ফলো বনাম নো ফলো লিংক 

সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর এর মধ্যে ডু ফলো লিংক অন্যতম। অপরদিকে নো ফলো লিংক সার্চ রেজাল্টে অগ্রাধিকার পাওয়ার কোন ভূমিকা রাখে না, কিন্তু ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার ক্ষেত্রে নো ফলো লিংকের গুরুত্ব রয়েছে।

পরিশেষে বলি

সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর একটি বিশদ বিষয়। গুগলের প্রায় ২০০ টির বেশি র‍্যাংকিং ফ্যাক্টর রয়েছে। আমরা চেস্টা করেছি মূল বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য। আমরা আশা করি, উপরোক্ত বিষয়গুলো কোন ওয়েবসাইটে প্রয়োগ করলে ওয়েবসাইট অবশ্যই র‍্যাংক করবে।  

ব্র্যান্ড অথোরিটি নামে এসইওতে নতুন মেট্রিক চালু করলো MOZ

ব্র্যান্ড অথোরিটি নামে এসইওতে নতুন মেট্রিক চালু করলো MOZ

৭ আগস্ট ২০২৩ এসইওতে নতুন মেট্রিক চালু করলো MOZ। যদিও এটা শুধুমাত্র বেটা ভার্সনে আছে মানে ফুল রিলিজ হয়নি। এটা এখন শুধুমাত্র USA এর জান্য রিলিজ করেছে।  আমরা আগেই জানি ডোমেইন অথোরিটি, পেজ অথোরিটি ও স্প্যাম স্কোর নামে MOZ এর বেশ কিছু মেট্রিকস ছিল। এর সাথে তারা এখন এই নতুন...

read more
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব – হুমকি নাকি সম্ভাবনা!

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব – হুমকি নাকি সম্ভাবনা!

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হলো এক কথায় অটোমেশনের বিল্পব। যেখানে ধরা হয় মানুষের পরিবর্তে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যাক্তিগত বেশিরভাগ কাজ অটোমেশনের মাধ্যমে সম্পাদিত হবে।

read more
ফেসবুকের অথরাইজড এড একাউন্ট কি? আসলেই কি কার্যকর?

ফেসবুকের অথরাইজড এড একাউন্ট কি? আসলেই কি কার্যকর?

ফেসবুকের অথরাইজড এড একাউন্ট কি?  আমাদের কাছে প্রায়ই অনেকে প্রশ্ন করেন আপনাদের এড একাউন্ট অথোরাইজড কিনা। সত্যি বলতে আমাদের সবার এড একাউন্টই অথোরাইজড। আমরা সবাই ফেসবুকে বিজনেস ম্যানেজার ক্রিয়েট করে এড একাউন্ট ক্রিয়েট করে থাকি। সো এক্ষেত্রে এই বিজনেস ম্যানেজার বা এড...

read more
অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে করনীয় ও বর্জনীয়

অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে করনীয় ও বর্জনীয়

গত কয়েক বছরে আমি বিভিন্ন অনলাইন বিজনেসের সাথে কাজ করেছি। আমার এজেন্সির মাধ্যমে কাজ করা ক্লায়েন্টের সংখ্যা অন্তত ২০০+ । সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমি মনে করছি আমার অভিজ্ঞতা সবার সাথে শেয়ার করা দরকার। আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি, কিভাবে একটা বিজনেস ডিজিটালি প্রফিট করে বা কেনই একটা...

read more
ডোমেইন ও হোস্টিং কি? কেনার আগে জেনে নিন

ডোমেইন ও হোস্টিং কি? কেনার আগে জেনে নিন

ডোমাইন ও হোস্টিং বিষয়টা আসলে কি, এটা  নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে। অনেকেই জানতে চান কোন ধরণের ডোমেইন কেনা ভালো হবে। কিংবা হোস্টিং এর ক্ষেত্রে কোন ধরণের হোস্টিং ভালো স্পিড পাবে। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নেই।  ডোমেইন কি?  এক কথায় একটি ওয়েবসাইটের নামই...

read more

About the Author 

Shahriar Hasan Sornob

Shahriar Hasan Sornob

Digital Marketing Strategist

Shahriar Hasan Sornob is a professional Digital Marketing Strategist. 

His extensive specialization are Digital Marketing Consultancy, Search Engine Optimization, Content Marketing, Social Media Marketing, Email Marketing, Video Marketing, Google Analytics, Google Ads & PPC campaigns etc.  

14 Comments

  1. MUHAMMAD SHAFAYET HOSAIN

    ভাইয়া খুব ভালো কনটেন্ট। পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম।

    Reply
  2. Md.Mozadded ul islam

    good information.thanks for share this content

    Reply
    • onpageoptimize

      ধন্যবাদ দেওয়ার ভাষা নাই, আলহামদুলিল্লাহ অনেক তথ্য সম্পর্কে জানলাম।

      Reply
  3. Golshan Akter

    Thank you so much for this valuable information.

    Reply
  4. Sharmin Akther

    এই পোস্ট টি পড়ে এক কথায় ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে প্রাথমিক ভাবে সব কিছু বুজলাম,,,, ধন্যবাদ ভাইয়া

    Reply
    • Kazi Md. Sahariya Omar

      খুব সুন্দর কনটেন্ট, step-by-step সবকিছুই সাজানো।

      Reply
  5. anamika sen

    hello vaia,,,you are excellent mentor of digital marketing.go ahead.be with us.thank you.

    Reply
    • Md.Alinoor

      Useful and informative data about SEO. This information is very need for every marketers.

      Lot of thanks of this Article

      Reply
  6. Muntasir Ahmed Jeffrey

    Best blog for Digital Marketing learners

    Reply

Submit a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *