এসইও প্রকারভেদ বলতে আমরা আলোচনা করবো, সাধারণত নৈকিকতার ভিত্তিতে এসইও প্রকারভেদ। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হলে সার্চ ইঞ্জিনের বিধিবিধান বা নিয়ম কানুন জানা প্রয়জোন। কারন একটি সার্চ ইঞ্জিন তাদের সার্চ রেজাল্টে আপনার ওয়েবসাইটকে স্থান দিবে কিনা তা অনেকাংশেই নির্ভর করে সেই সার্চ ইঞ্জিনের নিয়ম কানুন বা এলগোরিদম মেনে চলার উপর। আজকে আমরা আলোচনা করবো বিধিবিধান অনুযায়ী সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের বা এসইও প্রকারভেদ।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের বা এসইও প্রকারভেদ
বিধিবিধান অনুযায়ী বলি তবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এসইও প্রকারভেদ তিন প্রকার।
- হোয়াইট হ্যাট এসইও
- ব্ল্যাক হ্যাট এসইও
- গ্রে হ্যাট এসইও
হোয়াইট হ্যাট এসইও
হোয়াইট হ্যাট এসইও হচ্ছে নৈতিক, ভাল ও সুন্দর এসইও। আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন এর আইন কানুন মেনে আপনার ওয়েবসাইটকে এসইও করেন তবে তাই হবে হোয়াইট হ্যাট এসইও।
- Google Search Console (Webmaster Tool) এ বেশ কিছু গাইডলাইন উল্লেখ্য করা আছে। এর মধ্যে কিছু গাইডলাইন হচ্ছে Best Practice যা পালন করলে আপনি সার্চ রেজাল্টে ভালো ফলাফল পাবেন অর্থাৎ আপনার সাইটের ভালো এসইও হবে। অর্থাৎ কেউ যদি এই গাইডলাইন মেনে তার ওয়েবসাইটের এসইও করে থাকে তবে তা হোয়াইট হ্যাট এসইও বলে গণ্য হবে।
- হোয়াইট হ্যাট এসইও করলে আপনি দ্রুত সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক পাবেন না, কিন্তু যখন আপনি র্যাংক পাবেন তখন তা দীর্ঘস্থায়ী হবে।
- ভিজিটরের চাহিদা অনুযায়ী হোয়াইট হ্যাট এসইও করা হয়ে থাকে। কারন গুগল যেই ওয়েবসাইটকেই বেশি পছন্দ করে যেটি যত বেশি User Friendly.
- যারা পার্মানেন্ট ব্যবসা করেন তাদের অবশ্যই হোয়াইট হ্যাট এসইও করা উচিত।
- হোয়াইট হ্যাট এসইও এর কোন শর্টকাট নেই, অন্তত ৩ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
- ইউনিক কন্টেন্ট ও ওয়েবসাইটের সকল তথ্যের রেফারেন্স দেওয়া থাকে সেটা ইন্টারনাল লিংক বা এক্সটারনাল লিংক ব্যবহার করে।
- কাস্টমার বা অডিয়েন্স সেচ্ছায় ক্লিক করে বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে।
হোয়াইট হ্যাট এসইও এর কন্টেন্ট ও ইমেজগুলো থাকে ইউনিক। হোয়াইট হ্যাট এসইও করতে চাইলে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর ধারণা থাকলে খুবই ভাল। অপরদিকে ভিডিও বা ইউটিউব এসইও করতে চাইলে ইউটিউব বা ভিডিও মার্কেটিং এর ধারণা থাকা প্রয়োজন।
ব্ল্যাক হ্যাট এসইও
সার্চ ইঞ্জিনের গাইডলাইন না মেনে দ্রুত র্যাংক পাওয়ার জন্য যে কৌশলের অবলম্বন করা হয় তাই ব্ল্যাক হ্যাট এসইও।
- ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে দ্রুত র্যাংক করানো যায়।
- ওয়েবসাইটের ভিজিটর দ্রুত বৃদ্ধি করা যায় ব্ল্যাক হ্যাট এসইও ব্যবহার করে।
- বিভিন্ন ডুপ্লিকেট বা কপি করা কন্টেন্ট আর্টিকেল রি-রাইটার বা বিভিন্ন সফটওয়ারের মাধ্যমে নতুন করে লিখা হয়।
- হিডেন লিংক ব্যবহার করা হয় ক্লিক পাওয়ার জন্য।
- বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক ওয়েবসাইটে URL Redirect বা হিডেন লিংকের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়।
- অপ্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড দ্বারা ওয়েবসাইটকে র্যাংক করানো হয়।
- পুরা আর্টিকেলে কি ওয়ার্ড স্টাফিং করা থাকে। অর্থাৎ বেশি বেশি কি ওয়ার্ড ব্যবহার করা হয় র্যাংক পাওয়ার জন্য।
- ইমেজ এর এল্টার টেক্সটে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভিন্ন কিওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়।
- এংকর টেক্সটে অডিয়েন্সকে অপ্রাসঙ্গিক ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হয়।
- মিথ্যা বা ভুল হেডলাইন দিয়ে অডিয়েন্সকে অয়েবসাইটে নিয়ে আসা হয়, হেড লাইনের সাথে আর্টিকেলের কোন মিল থাকে না।
- বিভিন্ন ব্যাকলিংক তৈরির পদ্ধতিগুলো অডিয়েন্সকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওয়েবসাইটে নিয়ে আসা হয়, যেমন মিচ্যুয়াল কন্টেক্সচুয়াল লিংক উভয়ে একমত হয়ে স্প্যামিং করলো।
- টাকার বিনিয়মে বা নিজেরা ফেক রিভিউ দেয়া।
- কম্পিটিটরদের নেগেটিভ এসইও করা বিভিন্ন লিংক বিল্ডিং এর মাধ্যমে।
- ব্ল্যাক হ্যাট এসইও সার্চ ইঞ্জিনের আইন বিরুদ্ধ তাই যেকোনো সময় সার্চ ইঞ্জিন ব্ল্যাক হ্যাট এসইও করা ওয়েবসাইটকে ব্লক করে দিতে পারে। ফলে ওয়েবসাইটটি আর সার্চ রেজাল্টে প্রকাশিত হবে না।
- যার সল্প সময়ের জন্য কোন ব্যবসা করবে বা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কোন ব্যবসা করবে তারা সাধারণত ব্ল্যাক হ্যাট এসইও করে থাকে। যেমন কোন একটি প্রতিষ্ঠান বিশ্বকাপ উপলক্ষে একটি নির্দিষ্ট ব্যবসা করবে ও বিশ্বকাপ শেষে ব্যবসা বন্ধ করে দিবে তারা ব্ল্যাক হ্যাট এসইও করতে পারে।
গ্রে হ্যাট এসইও
সার্চ ইঞ্জিনের কিছু গাইডলাইন ফাঁকি দিয়ে, বা ফাঁকফোকর খুঁজে বের করে যদি সে অনুযায়ী এসইও করা হয় তবে তা হবে গ্রে-হ্যাট এসইও। যেমন গুগল প্রায়ই এর এলগোরিদম চেঞ্জ করে, এসব চেঞ্জের সাথে পরিচিত হয়ে প্রতিটি এলগোরিদম থেকে গ্যাপ করে এসইও করাই হচ্ছে গ্রে-হ্যাট এসইওর কাজ। সহজ বা ইজি দুটি গ্রে হ্যাট এসইও হচ্ছে এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কিনে প্রাইভেট ব্লগ নেটওয়ারকিং করা ও নিজেরা ওয়েব ২.০ ওয়েবসাইট তৈরি করা। খুব এক্সপার্ট না হলে কখনোই গ্রে হ্যাট এসইও করতে যাওয়া উচিত হবে না। কারন গুগুল যদি পেনাল্টি দিয়ে ওয়েবসাইটকে ব্লক করে দেয় তাহলে ওয়েবসাইটের মালিক কোম্পানি বিশাল লসের সম্মুখীন হবে।
পরিশেষে বলি
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন একটি বিশাল অধ্যায়। এই আর্টিকেলে আমরা শুধু এসইও এর ধরনগুলো আলোচনা করলাম। আমাদের সাইটে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতিটা অধ্যায়ের উপর পর্যাপ্ত আর্টিকেল পাবেন, ইনশা’আল্লাহ। আপনার যেকোনো প্রশ্ন থাকলে বা মন্তব্য থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে লিখুন।
Insightful 👏
আসসালামুয়ালাইকুম ভাইয়া 🤝
আপনার লেখাগুলো পড়ে প্রতিদিন নতুন কিছু জানতে পারি
ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂💖
আসসালামুয়ালাইকুম ভাইয়া 🤝
আপনার লেখাগুলো পড়ে প্রতিদিন নতুন কিছু জানতে পারি
ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂💖