+8801676386302 [email protected]

এসইও প্রকারভেদ – হোয়াইট হ্যাট, গ্রে হ্যাট ও ব্ল্যাক হ্যাট এসইও

by | May 1, 2020 | 3 comments

এসইও প্রকারভেদ বলতে আমরা আলোচনা করবো, সাধারণত নৈকিকতার ভিত্তিতে এসইও প্রকারভেদ। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হলে সার্চ ইঞ্জিনের বিধিবিধান বা নিয়ম কানুন জানা প্রয়জোন। কারন একটি সার্চ ইঞ্জিন তাদের সার্চ রেজাল্টে আপনার ওয়েবসাইটকে স্থান দিবে কিনা তা অনেকাংশেই নির্ভর করে সেই সার্চ ইঞ্জিনের নিয়ম কানুন বা এলগোরিদম মেনে চলার উপর। আজকে আমরা আলোচনা করবো বিধিবিধান অনুযায়ী সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের বা এসইও প্রকারভেদ।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের বা এসইও প্রকারভেদ

বিধিবিধান অনুযায়ী বলি তবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এসইও প্রকারভেদ তিন প্রকার।

  • হোয়াইট হ্যাট এসইও
  • ব্ল্যাক হ্যাট এসইও
  • গ্রে হ্যাট এসইও

হোয়াইট হ্যাট এসইও

হোয়াইট হ্যাট এসইও হচ্ছে নৈতিক, ভাল ও সুন্দর এসইও। আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন এর আইন কানুন মেনে আপনার ওয়েবসাইটকে এসইও করেন তবে তাই হবে হোয়াইট হ্যাট এসইও।  

  • Google Search Console (Webmaster Tool) এ বেশ কিছু গাইডলাইন উল্লেখ্য করা আছে। এর মধ্যে কিছু গাইডলাইন হচ্ছে Best Practice যা পালন করলে আপনি সার্চ রেজাল্টে ভালো ফলাফল পাবেন অর্থাৎ আপনার সাইটের ভালো এসইও হবে। অর্থাৎ কেউ যদি এই গাইডলাইন মেনে তার ওয়েবসাইটের এসইও করে থাকে তবে তা হোয়াইট হ্যাট এসইও বলে গণ্য হবে।
  • হোয়াইট হ্যাট এসইও করলে আপনি দ্রুত সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংক পাবেন না, কিন্তু যখন আপনি র‍্যাংক পাবেন তখন তা দীর্ঘস্থায়ী হবে।
  • ভিজিটরের চাহিদা অনুযায়ী হোয়াইট হ্যাট এসইও করা হয়ে থাকে। কারন গুগল যেই ওয়েবসাইটকেই বেশি পছন্দ করে যেটি যত বেশি User Friendly.
  • যারা পার্মানেন্ট ব্যবসা করেন তাদের অবশ্যই হোয়াইট হ্যাট এসইও করা উচিত।
  • হোয়াইট হ্যাট এসইও এর কোন শর্টকাট নেই, অন্তত ৩ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।  
  • ইউনিক কন্টেন্ট ও ওয়েবসাইটের সকল তথ্যের রেফারেন্স দেওয়া থাকে সেটা ইন্টারনাল লিংক বা এক্সটারনাল লিংক ব্যবহার করে।
  • কাস্টমার বা অডিয়েন্স সেচ্ছায় ক্লিক করে বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে।

হোয়াইট হ্যাট এসইও এর কন্টেন্ট ও ইমেজগুলো থাকে ইউনিক। হোয়াইট হ্যাট এসইও করতে চাইলে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর ধারণা থাকলে খুবই ভাল। অপরদিকে ভিডিও বা ইউটিউব এসইও করতে চাইলে ইউটিউব বা ভিডিও মার্কেটিং এর ধারণা থাকা প্রয়োজন।

ব্ল্যাক হ্যাট এসইও  

সার্চ ইঞ্জিনের গাইডলাইন না মেনে দ্রুত র‍্যাংক পাওয়ার জন্য যে কৌশলের অবলম্বন করা হয় তাই ব্ল্যাক হ্যাট এসইও।

  • ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে দ্রুত র‍্যাংক করানো যায়।
  • ওয়েবসাইটের ভিজিটর দ্রুত বৃদ্ধি করা যায় ব্ল্যাক হ্যাট এসইও ব্যবহার করে।
  • বিভিন্ন ডুপ্লিকেট বা কপি করা কন্টেন্ট আর্টিকেল রি-রাইটার বা বিভিন্ন সফটওয়ারের মাধ্যমে নতুন করে লিখা হয়।
  • হিডেন লিংক ব্যবহার করা হয় ক্লিক পাওয়ার জন্য।
  • বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক ওয়েবসাইটে URL Redirect বা হিডেন লিংকের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়।
  • অপ্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড দ্বারা ওয়েবসাইটকে র‍্যাংক করানো হয়।
  • পুরা আর্টিকেলে কি ওয়ার্ড স্টাফিং করা থাকে। অর্থাৎ বেশি বেশি কি ওয়ার্ড ব্যবহার করা হয় র‍্যাংক পাওয়ার জন্য।
  • ইমেজ এর এল্টার টেক্সটে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভিন্ন কিওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়।
  • এংকর টেক্সটে অডিয়েন্সকে অপ্রাসঙ্গিক ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হয়।
  • মিথ্যা বা ভুল হেডলাইন দিয়ে অডিয়েন্সকে অয়েবসাইটে নিয়ে আসা হয়, হেড লাইনের সাথে আর্টিকেলের কোন মিল থাকে না।
  • বিভিন্ন ব্যাকলিংক তৈরির পদ্ধতিগুলো অডিয়েন্সকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওয়েবসাইটে নিয়ে আসা হয়, যেমন মিচ্যুয়াল কন্টেক্সচুয়াল লিংক উভয়ে একমত হয়ে স্প্যামিং করলো।
  • টাকার বিনিয়মে বা নিজেরা ফেক রিভিউ দেয়া।
  • কম্পিটিটরদের নেগেটিভ এসইও করা বিভিন্ন লিংক বিল্ডিং এর মাধ্যমে।
  • ব্ল্যাক হ্যাট এসইও সার্চ ইঞ্জিনের আইন বিরুদ্ধ তাই যেকোনো সময় সার্চ ইঞ্জিন ব্ল্যাক হ্যাট এসইও করা ওয়েবসাইটকে ব্লক করে দিতে পারে। ফলে ওয়েবসাইটটি আর সার্চ রেজাল্টে প্রকাশিত হবে না।
  • যার সল্প সময়ের জন্য কোন ব্যবসা করবে বা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কোন ব্যবসা করবে তারা সাধারণত ব্ল্যাক হ্যাট এসইও করে থাকে। যেমন কোন একটি প্রতিষ্ঠান বিশ্বকাপ উপলক্ষে একটি নির্দিষ্ট ব্যবসা করবে ও বিশ্বকাপ শেষে ব্যবসা বন্ধ করে দিবে তারা ব্ল্যাক হ্যাট এসইও করতে পারে।

গ্রে হ্যাট এসইও

সার্চ ইঞ্জিনের কিছু গাইডলাইন ফাঁকি দিয়ে, বা ফাঁকফোকর খুঁজে বের করে যদি সে অনুযায়ী এসইও করা হয় তবে তা হবে গ্রে-হ্যাট এসইও। যেমন গুগল প্রায়ই এর এলগোরিদম চেঞ্জ করে, এসব চেঞ্জের সাথে পরিচিত হয়ে প্রতিটি এলগোরিদম থেকে গ্যাপ করে এসইও করাই হচ্ছে গ্রে-হ্যাট এসইওর কাজ। সহজ বা ইজি দুটি গ্রে হ্যাট এসইও হচ্ছে এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কিনে প্রাইভেট ব্লগ নেটওয়ারকিং করা ও নিজেরা ওয়েব ২.০ ওয়েবসাইট তৈরি করা। খুব এক্সপার্ট না হলে কখনোই গ্রে হ্যাট এসইও করতে যাওয়া উচিত হবে না। কারন গুগুল যদি পেনাল্টি দিয়ে ওয়েবসাইটকে ব্লক করে দেয় তাহলে ওয়েবসাইটের মালিক কোম্পানি বিশাল লসের সম্মুখীন হবে।

পরিশেষে বলি

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন একটি বিশাল অধ্যায়। এই আর্টিকেলে আমরা শুধু এসইও এর ধরনগুলো আলোচনা করলাম। আমাদের সাইটে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতিটা অধ্যায়ের উপর পর্যাপ্ত আর্টিকেল পাবেন, ইনশা’আল্লাহ। আপনার যেকোনো প্রশ্ন থাকলে বা মন্তব্য থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে লিখুন।

কন্টেন্ট মার্কেটিং কি ও কিভাবে কন্টেন্ট মার্কেটিং করতে হবে?

কন্টেন্ট মার্কেটিং কি ও কিভাবে কন্টেন্ট মার্কেটিং করতে হবে?

কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? সূক্ষ পরিকল্পনা ও সৃজনশীলতার, মাধ্যমে একটি বিষয়বস্তু বা কন্টেন্ট তৈরি করে তা টার্গেট কাস্টমারদের কাছে প্রমোশন করার নামই হলো কণ্টেন্ট মার্কেটিং। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যমণিতে পরিণত হয়েছে কন্টেন্ট । কেননা, ভাল কন্টেন্ট তৈরি করা...

read more
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করবো?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করবো?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কমিশনের ভিত্তিতে কোন কোম্পানি কিংবা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিক্রয় করে দেয়াকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। যেমন বিশ্বব্যাপী Amazon, E-bay, Alibaba Express এমনকি বাংলাদেশের Daraz, Pickaboo, AjkerDeal ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের অ্যাফিলিয়েট...

read more
ইউটিউব মার্কেটিং বা ভিডিও মার্কেটিং কিভাবে করবো?

ইউটিউব মার্কেটিং বা ভিডিও মার্কেটিং কিভাবে করবো?

ইউটিউব কে ব্যবহার করে কোন পন্য, সেবা বা বিজনেসের ব্র্যান্ডইং করাই হলো ইউটিউব মার্কেটিং। তবে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে, তার এড থেকে প্রাপ্ত আয়কেও অনেকে ইউটিউব মার্কেটিং হিসেবে বিবেচনা করে। অবশ্য আমরা আজকে দুটো বিষয়ই আলোচনা করবো। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কথা...

read more
ফেসবুকের এলগোরিদম মেনে ফেসবুক মার্কেটিং করার পদ্ধতি

ফেসবুকের এলগোরিদম মেনে ফেসবুক মার্কেটিং করার পদ্ধতি

যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং করার আগে আপানকে জানতে হবে সেই সোশ্যাল মিডিয়ার এলগোরিদম (বিধিবিধান) কি। ঠিক তেমনি ফেসবুক মার্কেটিং করার আগে আপনাকে খুব ভালভাবে জানতে হবে ফেসবুকের এলগোরিদম সম্পর্কে। ডিজিটাল মার্কেটিং জানতে হলে ফেসবুক মার্কেটিং...

read more
ইমেইল মার্কেটিং কি ও কিভাবে ইমেইল মার্কেটিং করতে হবে?

ইমেইল মার্কেটিং কি ও কিভাবে ইমেইল মার্কেটিং করতে হবে?

ইমেইলের মাধ্যমে একসাথে হাজার হাজার মানুষকে ইমেইল করে পন্য বা সেবা সম্পর্কে মার্কেটিং করার নামই হলো ইমেইল মার্কেটিং। আমাদের দেশে এটি ততটা জনপ্রিয় না হলেও উন্নত বিশ্বে ইমেইল মার্কেটিং বিজ্ঞাপনের একটি জনপ্রীয় মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়। আমরা প্রতিদিন সকালে যেমন ফেসবুকের...

read more
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি ও কোন সাইটে মার্কেটিং বেশি কার্যকর?

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি ও কোন সাইটে মার্কেটিং বেশি কার্যকর?

Facebook, Twitter, YouTube, LinkedIn, Instagram, Pinterest ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করে যে মার্কেটিং করা হয় তাকেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে।  আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া হ'ল আমাদের প্রতিদিনের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম...

read more

About the Author 

Shahriar Hasan Sornob

Shahriar Hasan Sornob

Digital Marketing Strategist

Shahriar Hasan Sornob is a professional Digital Marketing Strategist. 

His extensive specialization are Digital Marketing Consultancy, Search Engine Optimization, Content Marketing, Social Media Marketing, Email Marketing, Video Marketing, Google Analytics, Google Ads & PPC campaigns etc.  

3 Comments

  1. D M Mobasshir Murad

    আসসালামুয়ালাইকুম ভাইয়া 🤝
    আপনার লেখাগুলো পড়ে প্রতিদিন নতুন কিছু জানতে পারি
    ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂💖

    Reply
  2. D M Mobasshir Murad

    আসসালামুয়ালাইকুম ভাইয়া 🤝
    আপনার লেখাগুলো পড়ে প্রতিদিন নতুন কিছু জানতে পারি
    ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂💖

    Reply

Submit a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *